পুলিশ বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বাসার সামনে উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়ার কারণে সম্প্রতি আলোচনায় আসা ফারজানা তমাকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উত্তরার জসিমউদ্দিন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগের পর পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ফারজানা তমাসহ আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে আসামি এইচএম ওসমান রেজা, তানজিল, ফারজানা তমাসহ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি উত্তরা পশ্চিমের ১৩ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে প্রবেশ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, পূর্বের একটি মামলায় আপস করিয়ে দেওয়ার কথা বলে তারা বাদীর ভগ্নিপতিকে মুক্ত করার শর্তে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। হুমকির মুখে বাদী কষ্ট করে বিভিন্ন জায়গা থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে আসামিদের হাতে তুলে দেন। তবে অবশিষ্ট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা না দিলে বাদী ও তার পরিবারকে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে তারা চাপ দিতে থাকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে তিনজন নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা দেলোয়ার হোসেন নামের একজনকে মামলার হাত থেকে বাঁচানোর আশ্বাস দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। পরিবারটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করলেও বাকি টাকা শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার মধ্যে পরিশোধ করতে বলে। যাওয়ার সময় তারা নানা ধরনের হুমকিও দেয়। পরে রাতেই বিমানবন্দর থানার সামনে থেকে সমন্বয়ক নোমান রেজাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যে পরে তানজিল ও তমাকে উত্তরার জসিমউদ্দিন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরাই কয়েকদিন আগে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের বাসা ঘেরাও করেছিলেন সেগুনবাগিচায়। আর যিনি ফজলুর রহমানকে নিয়ে স্লোগান দিয়েছিলেন, তিনিই সমন্বয়ক ফারজানা তমা।
উত্তরা পশ্চিম থানার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফারজানা তমাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।