ডিআরইউতে ঢুকেই অবরুদ্ধ আ.লীগের নেতাকর্মীরা, লতিফ সিদ্দিকীকে টেনে বের করল জনতা

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করেছেন জনতা। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) তারা ‘৭১ মঞ্চ’ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে সেখানে উপস্থিত হন।

জানা গেছে যে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ‘৭১ মঞ্চ’ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে ডিআরইউতে পৌঁছান। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাদের অবরুদ্ধ করে। পরে তাদের আটক করে করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

উপস্থিত জুলাইয়ের যোদ্ধারা বলেন যে লতিফ কাদের সিদ্দিকী এখানে এসেছিলেন। এখানে তার সাথে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীও ছিলেন। এরা দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এই দেশে এই জন্য যুদ্ধ করিনি। মানুষের অঙ্গহানি হয়নি। এই দেশে আমাদের সহযোদ্ধাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজকে তারা বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।

তারা বলেন, আমরা যখন এই খবর শুনতে পেলাম তখন সঙ্গে সঙ্গে চলে এসেছি। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব এই গুপ্ত আলোচনা এবং এই দুঃসাহস তারা কোথা থেকে পেল? ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মতো জায়গায় এসে তারা বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা দুঃসাহস কোথায় পেল? এই দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা আবার নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেবো, কিন্তু কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র আমরা মেনে নেবো না।

এর আগে সকালে ডিআরইউর শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ‘মঞ্চ ৭১’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল গণফোরামের সাবেক সভাপতি ড. কামাল হোসেনের।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বলেন, দল-মতের সব মুক্তিযোদ্ধাদের এখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমরা প্রোগ্রাম শুরু করেছিলাম। লতিফ সিদ্দিকী সাহেব এসেছেন, তবে কামাল হোসেন সাহেব আসেননি। এর মধ্যে ২০-২৫ জন যুবক এসে হৈচৈ শুরু করে এবং আমাদের ঘিরে ফেলে। তবে তারা কারও গায়ে হাত দেয়নি।

দুপুরে, এডিসি হাফিজ আল আসাদের নেতৃত্বে পুলিশ লতিফ সিদ্দিকী এবং আরও কয়েকজনকে একটি ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে আল আমিন রাসেলের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে লতিফ সিদ্দিকী ও অন্যান্য উপস্থিত ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং মিলনায়তনে প্রবেশ ও অবস্থান ঠেকাতে চেষ্টা করেন।

Scroll to Top