২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে, পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ ও প্রচারের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রাক্তন প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন খালাস দিয়েছে সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার, ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন।
ট্রাইব্যুনালের প্রধান মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। সেদিন আদালতে কোনও সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময় চেয়েছিল। আদালত সাক্ষীদের ছুটি ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করে। ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো: রবিউল ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২৩ সালের ২৫ জুলাই ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত চার্জশিট গ্রহণ করেন এবং প্রাক্তন এসপি বাবুল আক্তার এবং তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে খালাস দেন। একই সাথে তিনি অন্য আসামি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন এবং বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।
২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ মামলায় বাবুলের ভাই মো: হাবিবুর রহমান লাবুকে অব্যাহতি দেন ও ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে ১৩ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।



