আর চাপ সহ্য করতে পারলেন না প্রবাসীর স্ত্রী ডলি

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঋণের কিস্তির চাপে ডলি আক্তার নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম হাসানপুর গ্রামের তার বাড়ি থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।

ডলি আক্তার পশ্চিম হাসানপুর এলাকার প্রবাসী মনির হোসেনের স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের মা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে তারা মনির হোসেনকে সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় পরিবারটি অস্থির অবস্থায় পড়ে যায়। প্রতি সপ্তাহে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হত। এনজিওর লোকেরা নিয়মিত বাড়িতে এসে চাপ দিতেন। এই পরিস্থিতিতে ডলি দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। অবশেষে চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরিবারটি স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তি এবং বেশ কয়েকটি এনজিওর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকারও বেশি ঋণ নিয়েছিল। বিশাল ঋণের কিস্তির চাপ ও সুদের বোঝা এখন গ্রামীণ জীবনে বড় এক আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। ডলি আক্তারের মৃত্যু যেন সে চিত্রকেই আবারও সামনে নিয়ে এলো।

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি জুনায়েত চৌধুরী বলেন, পরিবারের দাবি অনুযায়ী ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

Scroll to Top