হিজাব পরা ছাত্রীদের বের করে দেওয়ায় ভিকারুননিসার সেই শিক্ষিকার বেহাল দশা

হিজাব পরার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বহিষ্কার করার অভিযোগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি শ্রেণীকক্ষের ষষ্ঠ শ্রেণির ২২ জন ছাত্রীকে হিজাব পরার অভিযোগে ক্লাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে সহকারী শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে যে, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কেন তাকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না, তা উল্লেখ করে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।

গত ২৪ আগস্ট ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখায় ষষ্ঠ শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরায় ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহারের বিরুদ্ধে।

অভিভাবক এবং কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, রবিবার (২৪ আগস্ট) স্কুলের প্রভাতী শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির ২০-২২ জন ছাত্রী হিজাব পরে ক্লাসে এসেছিল। যদিও তারা সব ক্লাসে উপস্থিত ছিল, তবুও কোনও শিক্ষক তাদের হিজাব নিয়ে আপত্তি জানাননি। কিন্তু ইংরেজি শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহার শেষ পিরিয়ডে শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বের করে দেন। অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরাও অভিযোগ করেন যে এই সময় তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো রোববারও তাদের সন্তানরা হিজাব পরে ক্লাসে যায়। পরে বাসায় ফিরে ছাত্রীরা জানায়, হিজাব পরার কারণে তাদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ সময় ‘মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মতো কেন হিজাব পরে এসেছে’ বলে তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করা হয়।

ঘটনার দিন রাতে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহার বলেন, “আমাদের স্কুলের একটি ড্রেস কোড আছে। এখানে কেউ পর্দা করতে হলে সাদা স্কার্ফ পরে আসতে হবে। কিন্তু অনেকেই ওড়না পরে এসেছে। এজন্য তাদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

Scroll to Top