পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গত রবিবার রাতে বরিশালের বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে কন্টেন্ট নির্মাতা তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করেছে। যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মন্তব্য করেছেন যে এটি কেবল একটি ভুয়া মামলা। সোমবার (২৫) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
তিনি পোস্টে লিখেছেন, ‘যাত্রাবাড়ী থানা হত্যা মামলায় তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা নিছক একটা ভুয়া মামলা। ভুয়া মামলায় কেন তাকে গ্রেফতার করতে হবে? সে তেলবাজি করেছে, তেলবাজির মামলায় বা তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন অভিযোগ থাকলে সেটির প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করতে পারতো।
রাশেদ খান বলেন, তৌহিদ আফ্রিদিদের আমি কখনোই পছন্দ করি নাই। এদের তেলবাজি নিয়ে আমি বরাবরই প্রতিবাদ করেছি, বক্তব্যও দিয়েছি। বরাবর বলেছি, এসব তেলবাজরা তরুণদের আইডল হডে পারেনা। যাইহোক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা আইনের শাসনের কথা বলছি। ভুয়া মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা আইনের শাসন কায়েমের অন্তরায়। যার বিরুদ্ধে যতোটুকু অভিযোগ, সে যতোটুকু অন্যায় করেছে, তাকে ততোটুকুই শাস্তি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সরাসরি অবস্থানে থাকা ডামি এমপি বা মন্ত্রীদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? তারা তৌহিদ আফ্রিদির চেয়েও বড় অপরাধী। তারা সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতিতে জড়িত। তারা শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। আমি ১ বছর এসব নিয়ে প্রতিবাদ করায় অনেকের বিরাগভাজন হয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এসব কর্মযজ্ঞের সমালোচনা করায় যারা আমার সমালোচনা করেছে, তারা দেখি এখন সরাসরি ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সরকারের কঠোর সমালোচনা ও আক্রমণ শুরু করেছে। এ জন্য আমি আপাতত সরকারের সমালোচনা বন্ধ করেছি যে, স্বার্থে আঘাত লাগায় বা সরকারের সাথে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে বিরোধ তৈরি হওয়ায় আমার সমালোচকদের বিবেক জাগ্রত হয়েছে। তারা আপাতত সব পুষিয়ে দিচ্ছে।



