বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তার ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে গত এক বছরে মোহাম্মদ এ আরাফাত কোনো নতুন কিংবা পুরোনো শখের পেছনে সময় দিতে পারেননি। তিনি ব্যস্ত রয়েছেন দলীয় কর্মকাণ্ড এবং ইউনূস সরকারকে উৎখাত করে হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন নিয়ে। তার দাবি, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার “অবৈধ।”
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) প্রকাশিত প্রতিবেদনে কয়েকজন সাবেক এমপি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতের বিষয়টি তুলে আনা হয়েছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট-কে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে বাংলাদেশ পতনের দিকে যাচ্ছে। আমার একটাই লক্ষ্য—বাংলাদেশকে আবারও সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা। সত্যি বলতে এখন আমার কোনো শখ নেই, খেলাধুলার সময় নেই, কিংবা জীবনে অন্য কোনো বিনোদন যোগ করার ইচ্ছেও নেই।”
ভারতে বসে আওয়ামী লীগের হয়ে দিন-রাত কাজ করছেন দাবি করে আরাফাত বলেন, “আমার ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। অনেক সময় বিভ্রান্ত হই—এখন ভোর নাকি সন্ধ্যা। আমার প্রতিদিনের জীবন শুধু কাজ, কাজ… আর কাজ।”
একজন আওয়ামী লীগ নেতা সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, হাসিনা সরকারের পতনের পর শুধু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই নয়, অনেক সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তাও ভারতে পালিয়ে গেছেন। সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি।
সংবাদমাধ্যমটিকে ঢাকার এক তরুণ এমপি জানিয়েছেন, তিনি দিল্লিতে গিয়ে মাথায় চুল গজানোর চিকিৎসা করেছেন। কক্সবাজারের সাবেক পলাতক এক এমপি জানিয়েছেন, তিনি ও আরেক এমপি একসঙ্গে একটি ফ্ল্যাটে থাকছেন। তারা নিয়মিত নামাজ আদায়, জিম করছেন। আবার কাজের লোক না আসলে প্রায়ই নিজেদের রান্না করে খেতে হয় বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই পলাতক মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা কলকাতার নিউ টাউনে অবস্থান করছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, “ভারতে আশ্রয় নেওয়া বেশিরভাগই নিউ টাউনে বসবাস করছেন। এটি কলকাতার উপকণ্ঠে দ্রুত বর্ধমান পরিকল্পিত শহর। শহরটির রাস্তা প্রশস্ত, সহজে ফ্ল্যাট ভাড়া পাওয়া যায়, শপিং মল ও জিম রয়েছে। এছাড়া এটি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের থাকার জন্য আদর্শ জায়গায় পরিণত হয়েছে।”



