এনসিপির নেতাদের ফাঁসাতে বিএনপি নেতা ইশরাক অপুকে অপহরণ করে নি*র্যাতন করে

অপুর স্ত্রী আনিশা অভিযোগ করেছেন যে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের লোকেরা বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (বাগসাস) বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক অপুকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন করেছে এবং তার ভিডিও রেকর্ড করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।

আনিশা বলেন যে ভিডিওটি রাজধানীর গোপীবাগে ইশরাকের বাড়িতে রেকর্ড করা হয়েছিল। ইশরাকের লোকেরা অপুকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন করেছে।

তিনি আরও বলেন যে অপুকে গ্রেপ্তারের সঠিক সময় প্রকাশ না করে আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগে বিভিন্ন বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। এনসিপির নেতাদের ফাঁসাতে এবং দাবিয়ে রাখতে একটা দল নাটক সাজিয়েছে। তার কাছ থেকে বারবার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের নাম শুনতে চাওয়া হয়।

তার স্বামী কোনও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ছিলেন না দাবি করে আনিশা বলেন যে অপু মূলত ভুল বোঝাবুঝির শিকার, মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার। অপুকে দিয়ে জোর করে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। ইশরাকের লোকজন অপুকে তুলে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। গ্রেফতার হওয়ার পরে কোর্টে তোলার আগে এ ভিডিও ধারণ করা হতে পারে।

১ আগস্ট ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ জেনে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করে। গুলশানে প্রাক্তন এমপি শাম্মীর বাড়িতে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর ওয়ারি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চাঁদাবাজির মামলায় অপুকে গ্রেপ্তারের আগে গুলশান পুলিশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাক্তন নেতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদুন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানে আলম অপুর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ৩৫ মিনিটের ওই ভিডিওতে গত ২৬ জুলাইয়ে হওয়া চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করে একজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। গত রাতেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

অপুর পরিবার আজ প্রতিবাদে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

Scroll to Top