অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মন্তব্য করেছেন যে, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এ আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন-২০২৫’-এ এই কথা জানান।
এনসিপি’র যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তি আয়োজিত সম্মেলনে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এবং এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদও বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, , যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, আমার যে ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল সংস্কারের জন্য, তাহলে কবরে গিয়ে তার লাশটা ফেরত দিতে হবে এই সরকারকে। আমার যে ভাইয়ের হাতটা চলে গিয়েছিল, যদি সংস্কার কাজ শেষ না করে নির্বাচন হয়, তাহলে এই সরকারকে আমার ভাইয়ের হাতটা ফিরিয়ে দিতে হবে। যে মায়ের বুক খালি হয়েছিল, ওই মায়ের বুকের সন্তানকে ফেরত দিতে হবে।
একই ধরনের সংস্কৃতিতে নির্বাচন হলে মানুষ কেন আহত-নিহত হলো সে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, একই সংস্কৃতির ডামাডোলে, একই ফ্যাসিবাদী সংবিধানে, একই সিস্টেমের মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। তাহলে এতগুলো মানুষ শহীদ হওয়ার প্রয়োজন কি ছিল? এতগুলো মানুষ আহত হওয়ার প্রয়োজন কি ছিল?
সংবাদমাধ্যমকে সমালোচনা করে নাসীরুদ্দীন বলেন, তাদেরকে একটা কথা বলেছিলাম, যা আকাম করেছেন, ঘরের ভিতরে বসে থাকেন। যদি লজ্জা থাকে, ঘরের ভেতর থেকে বের হবেন না। কিন্তু তাদের লজ্জা নাই। তারা বারবার বাংলাদেশের মানুষদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।
আয়নাঘর এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, একটা গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে-ডিজিএফআই আপনার আমার পকেটের টাকায় চলাফেরা করে। তারা কত টাকা খরচ করে বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারবে না। তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নাই, জবাবদিহি নাই, স্বচ্ছতা নাই। তাদের একটাই কাজ, মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করে কিছু হলেই আয়নাঘরে তুলে নিয়ে আসবো। আপনার আয়নাঘর আমরা ভেঙে দিয়েছি। সামনে যদি একই ধরনের প্রচেষ্টা করা হয়, আমরা আয়নাঘর কেন, ডিজিএফআই’র হেডকোয়ার্টার আমরা ভেঙে দেবো। যথেষ্ট সহ্য করেছি। বাংলাদেশ যদি ডিজিএফআই থাকতে হয়, অবশ্যই এটার সংস্কার করতে হবে।
সম্মেলনে এনসিপি’র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ, দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক সারজিস আলম এবং জাতীয় যুবশক্তির সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলামও বক্তব্য রাখেন।



