করাচির রশিদ মিনহাস রোডে রোববার ভোররাতে (১০ আগস্ট) একটি করুণ দুর্ঘটনা ঘটে, যেখানে একটি পরিবারের সদস্যরা বহনকারী মোটরসাইকেলটি একটি ডাম্পার ট্রাকে ধাক্কা খায়। মোটরসাইকেলে থাকা ভাইবোন দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা প্রতিবাদের স্বরূপ সাতটি ডাম্পার ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অঞ্চলের পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দুর্ঘটনার সময় মোটরসাইকেলে বাবা, তার ছেলে ও মেয়ে ছিলেন। ২২ বছর বয়সী মেয়ে মাহনূর এবং ১৪ বছর বয়সী তার ছোট ভাই আহমেদ রাজা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
সেন্ট্রাল সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) জিশান শফিক সিদ্দিকী জানান, ভোর সোয়া ৩টার দিকে একটি ডাম্পার ট্রাক ওই পরিবারের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়, যার ফলে মাহনূর ও আহমেদ রাজা মারা যান এবং তাদের ৪৮ বছর বয়সী বাবা শাকির আহত হন।
দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বেশ কয়েকটি ডাম্পার ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। ট্রাক চালককে আটক করার আগে জনতা তাকে মারধর করে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
সিদ্দিকী আরও জানান, পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং আগুন নেভানোর জন্য দমকল বাহিনীকে ডেকে আনে। আগুন লাগানোর অভিযোগে পুলিশ ১৪ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভিডিও ফুটেজ এবং প্রযুক্তিগত প্রমাণের মাধ্যমে বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সার্জন ডা. সুমাইয়া সৈয়দ বলেন, ভাইবোনদের মৃত অবস্থায় আব্বাসি শহিদ হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তাদের বাবা আহত ছিলেন। আত্মীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, নিহত মেয়েটির শীঘ্রই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। জনতার মারধরের পর গুরুতর আহত দুই ট্রাক চালককে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে আসে। একজনের অবস্থা স্থিতিশীল, আরেকজনের মাথায় আঘাত পেয়ে অবস্থা গুরুতর।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে করাচিতে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এ এলাকায় প্রায় ৫০০ জন নিহত এবং ৪৮৭৯ জন আহত হয়েছে।



