ভোট ডাকাতি করতে এলে স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধ করে আসুন: জামায়াত নেতার হুঁশিয়ারি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলায় আয়োজন করা হচ্ছে নানা কর্মসূচি। সেই ধারাবাহিকতায় লালমনিরহাটে আয়োজন করা হয় গণমিছিল ও সমাবেশের। স্থানীয় জামায়াত নেতারা এতে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক দাবিদাওয়া ও ভবিষ্যৎ আন্দোলনের রূপরেখা তুলে ধরেন। বক্তারা নির্বাচন, গণতন্ত্র ও জনঅধিকার নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানান।

লালমনিরহাট জেলা সেক্রেটারি ফিরোজ হায়দার লাভলু বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি কেউ ভোট ডাকাতির পাঁয়তারা করে, তাহলে ভোটকেন্দ্রে আসার আগে যেন স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধ করে আসে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের উদ্যোগে গণমিছিল ও সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে রেলওয়ে মুক্তমঞ্চ থেকে শুরু হওয়া গণমিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে মিশন মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শেষ হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট আবু তাহের এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি হাফেজ শাহ আলম।

এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু, নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান এবং লালমনিরহাট-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হারুন অর রশিদ।

ফিরোজ হায়দার লাভলু বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি কেউ ভোট ডাকাতির পাঁয়তারা করে, তাহলে ভোটকেন্দ্রে আসার আগে স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধ করে আসতে হবে। ২৪ জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনের সময় জেলে ছিলাম, কিন্তু বের হয়ে সেইসব খবর শুনে আন্দোলনের তীব্রতা অনুভব করেছি। আমাদের উচিত জুলাইয়ের এই চেতনাকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়া।

জেলা আমীর অ্যাডভোকেট আবু তাহের বলেন, ৩৬ জুলাই আমাদের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রতীক। এ দিনটি দেশের মানুষের জেগে ওঠার দিন। শহীদদের স্মরণে আমরা এই দিনটিকে হৃদয়ে লালন করি এবং কেয়ামত পর্যন্ত করে যাবো।

সমাবেশে আরও বলা হয়, রাজনীতির মাঠে কেউ ভুল করলে তা নিজে সংশোধন করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো চোখ রাঙানিকে বরদাশত করা হবে না। গণমিছিল ও সমাবেশে জেলার অন্যান্য নেতারাসহ দলীয় কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, জনমতের প্রতিফলন ছাড়া কোনো সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। জনগণের অধিকার নিশ্চিত না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। তারা জানান, দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও রাজপথে জীবন বাজি রেখে লড়বে জামায়াত। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে সমাবেশ শেষ হয় দোয়ার মাধ্যমে।

Scroll to Top