যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে তাপসকে হাসিনা

জুলাই মাসে বিদ্রোহের সময় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) তৎকালীন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের মধ্যে ফোনালাপ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম রবিবার (৩ আগস্ট) তার উদ্বোধনী বক্তব্যে ট্রাইব্যুনালে ফোনালাপটি উপস্থাপন করেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর উদ্বোধনী বক্তব্যের পর একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।

ফোনালাপে শেখ হাসিনাকে স্পষ্টভাবে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিতে শোনা যায়। শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে বিক্ষোভকারীরা যেখানেই পাওয়া যাক না কেন গুলি করে হত্যা করা হোক।

তাপসের সঙ্গে শেখ হাসিনার ফোনালাপ

শেখ হাসিনা: দরকার নাই, ওটা দরকার নাই। আমি সেনাপ্রধানের সাথে কথা বলছি, ওরা রেডি থাকবে ঠিক আছে! এখন তো আমরা অন্য ইয়ে করতেছি। ড্রোন দিয়ে ছবি নিচ্ছি আর হেলিকপ্টারে, ইয়ে হচ্ছে মানে, কয়েক জায়গায়।

তাপস: তাহলে ওই কিছু ছবি দেখে পাকড়াও করা যায় না রাতের মধ্যে?

শেখ হাসিনা: সবগুলোকে অ্যারেস্ট করতে বলেছি রাতে।

তাপস: হ্যাঁ, পাকড়াও, পাকড়াও করলে ওদেরকে…

শেখ হাসিনা: না, ওটা বলা হয়ে গেছে, ওটা নিয়ে র‍্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই, সবাইকে বলা হইছে যে যেখান থেকে যে কয়টা পারবা ধইরা ফেলো।

তাপস: জি

শেখ হাসিনা: না, ওটা বলা আছে। আর যেখানে গেদারিং দেখবে সেখানে ওই ওপর থেকে, এখন ওপর থেকে করাচ্ছি, অলরেডি শুরু হইছে কয়েকটা জায়গায়।

তাপস: জি

শেখ হাসিনা:…হইয়া গেছে।

তাপস : জি, জি, মোহাম্মদপুর থানার দিকে মনে হয় ওরা যাচ্ছে একটা- আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলল।

শেখ হাসিনা: মোহাম্মদপুর থানার দিকে?

তাপস: হ্যাঁ

শেখ হাসিনা: ওখানে পাঠাইয়া দিক র‍্যাবকে

তাপসা: জি, তাহলে আপনার নির্দেশনা লাগবে, উনি এখনো মানে…

শেখ হাসিনা: আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে, ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিছি এখন, এখন লেথাল উইপেন ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে।

Scroll to Top