বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এ হার নির্ধারণ করা হয়।
এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টা ৫১ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জামায়াত আমির লেখেন,
“আলহামদুলিল্লাহ, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে উচ্চ ট্যাক্স হার ঘোষণা করা হয়েছিল, বাংলাদেশ সরকারের কার্যকর উদ্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আন্তরিকতায় তা কমে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। এজন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।”
তিনি আরও লেখেন, “আশা করছি, ভবিষ্যতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পরবর্তীতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসবেন, তারা সম্মানজনক অবস্থান ধরে রেখে বিশ্ব কূটনীতির ময়দানে মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন।”
এই উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে জানান, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফার শুল্ক আলোচনার পর হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে যে, নতুন হার অনুযায়ী ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হচ্ছে।
তিনি লেখেন, “এর আগে এই হার ছিল ৩৭ শতাংশ, যা প্রথমে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়। আজকের চূড়ান্ত আলোচনায় তা ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।” আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতি অনুযায়ী, শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, আরও একাধিক দেশের ওপর নতুন পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার মধ্যে ভারতের ওপর ২৫%, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের ওপর ২০%,কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯%,আফগানিস্তানের ওপর ১৫%,মিয়ানমারের ওপর সর্বোচ্চ ৪০%
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন, “আমরা আরও কম শুল্ক প্রত্যাশা করেছিলাম, তবে এটি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি।”



