কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম সরকারকে তার নিজ এলাকা থেকে কালো নোহা গাড়িতে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এলাকায় চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুটি কালো নোহা গাড়ি কাশিমপুর গ্রামে প্রবেশ করে এবং শাহ আলম সরকারকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। কারা তুলে নিয়ে গেছে, কোথায় নিয়ে গেছে, সে বিষয়ে কিছুই জানে না তার পরিবার বা এলাকাবাসী।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা আবুল খায়ের বলেন, “আওয়ামী লীগের সময় দেখতাম—যাকে তাকে তুলে নিয়ে যেত, কেউ গুম হতো, কেউ হত্যা, কেউবা গ্রেপ্তার দেখানো হতো। এখন কি সেই ভয়ঙ্কর সময় আবার ফিরে এলো?”
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “শাহ আলম সরকার একজন জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান। তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাকে কালো গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অবাক লাগে—ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরও আমরা নিরাপদ নই? আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে শাহ আলম সরকারকে খুঁজে বের করে ফিরিয়ে আনা হোক। আমরা সবাই চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
এদিকে বাঙ্গরা থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, “আমি এ ধরনের ঘটনা আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। শাহ আলম সরকারকে কেউ তুলে নিয়ে গেছে—এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।”
কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ওসি বলেন, “আমার কাছেও এমন কোনো তথ্য নেই যে শাহ আলম সরকারকে ডিবি আটক করেছে। আর ডিবি যদি করতও, তাহলে আকুবপুর থেকে আসতে অন্তত ৩ ঘণ্টা সময় লাগার কথা। অগ্রিম কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার ও দলের নেতারা শাহ আলম সরকারের অবিলম্বে সন্ধান ও নিরাপদ মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।



