অবৈধ সম্পদ অর্জনের সব মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সব অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন। আজ (বুধবার) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আদালত বলেন, প্রসিকিউশন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় শাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবীরা—মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী, জামাল হোসেন, তানজিম চৌধুরী ও খায়রুল ইসলাম লিটন—ও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ১৬ জুলাই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত ২৩ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে।

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ ঢাকার রমনা থানায় এ্যানির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এ্যানি তার সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া, তদন্তে জানা যায় তিনি আরও ১ কোটি ৪০ লাখ ৪২ হাজার ৬৭০ টাকা আয়ের উৎস ব্যাখ্যা না করেই অর্জন করেছেন।

আরও বলা হয়, এ্যানি জমি রেজিস্ট্রেশন খরচ বাবদ ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকা এবং লক্ষ্মীপুরের কুশখালীতে একটি বিদ্যালয়ে নিজের নামে ১০ লাখ টাকা অনুদানের তথ্য গোপন করেন, যা মিলিয়ে মোট গোপন করা সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকা। এটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

নথি থেকে জানা যায়, এ্যানি তার চলতি ও অচল সম্পদের মোট পরিমাণ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৬ টাকা। এর মধ্যে ৫০ লাখ টাকা ঋণ বাদ দিলে নিট সম্পদ দাঁড়ায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৭ টাকা। তবে ২০১৩ সালের ৩০ জুন তিনি যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন, তাতে সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৭ টাকা।

২০১৬ সালের ২৪ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন। এরপর ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে এবং মামলা কেন বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে রুল জারি করেন। ২০১৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে এবং ছয় মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ দেন।

মামলার বিচারের সময়ে রাষ্ট্রপক্ষের ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।

Scroll to Top