গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ‘জুলাই পদযাত্রা’-কে কেন্দ্র করে আবারও সহিংসতা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে গোপালগঞ্জ পৌরপার্কে সমাবেশ শেষে পদযাত্রার সময় এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এনসিপির অভিযোগ, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে।
হামলার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউসে আশ্রয় নেন। ঘটনার পর শহরের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালায়। হামলায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বুধবার রাত ৮টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলেন,
“জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে সাধারণ জনগণ কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু মনিটরিং করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা।”
উল্লেখ্য, দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির পথসভা চলাকালেও হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এনসিপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা সাউন্ড সিস্টেম, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে এবং উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
ঘটনার জেরে এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে। কোটালীপাড়া সড়ক, টেকেরহাট সড়ক ও টুঙ্গিপাড়ায় এপিসি মোতায়েন করা হয়েছে।



