গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশস্থলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এনসিপির নেতাকর্মীরা এ হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হামলাকারীরা সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে মঞ্চের সাউন্ড সিস্টেম, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে। পরে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। এতে সমাবেশস্থলে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এনসিপির মাসব্যাপী ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে, ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলা এবং পুলিশের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজ শুরু করে।
এদিকে পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়ক, গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়ক ও টুঙ্গিপাড়ায় সেনাবাহিনীর এপিসি (আর্মড পারসোনেল ক্যারিয়ার) মোতায়েন করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি তাদের মাসব্যাপী ‘জুলাই পদযাত্রা’র অংশ। তারা অভিযোগ করেছেন, সরকারি দল ও প্রশাসনের যৌথ চেষ্টায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে বানচালের উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা দাবি করেছেন, এ ধরনের হামলা গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ ও জনমত দমন করার অপচেষ্টা। তারা ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।



