অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পরিষদের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “আমি যদি একজন সাংবাদিক, বিশেষ করে একজন ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার হতাম, তাহলে আমি জাতীয় নাগরিক দলের (এনসিপি) নির্বাচনী প্রচারণায় নির্দ্বিধায় অংশগ্রহণ করতাম।
তিনি যদি সাংবাদিক হতেন, বিশেষ করে একজন ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার, তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী প্রচারণায় নির্দ্বিধায় অংশ নিতেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম লিখেছেন, “আমি যদি একজন সাংবাদিক, বিশেষ করে একজন ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার হতাম, তাহলে আমি জাতীয় নাগরিক দলের তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ যাত্রায় স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ করতাম। কারণ, এই ভ্রমণ কেবল একটি প্রচারণা নয় – এটি একটি নতুন রাজনৈতিক ভোরের সূচনা হয়ে উঠছে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে।”
তিনি আরও লিখেছেন, “মাত্র এক বছর আগেই তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলন এক নৃশংস শাসকের পতন ঘটায়। সেসব তরুণই আজ দেশের প্রান্তে প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তৃণমূলের সমর্থন জোগাড় করে একটি নতুন রাজনৈতিক শৃঙ্খলা গঠনের লক্ষ্যে। কয়েক মাস আগেও যাদের ক্লান্ত ও বিতর্কিত মনে হয়েছিল, আজ তারা নতুন উদ্দীপনায় পথে নেমেছেন। এ যাত্রা যেন তাদের আন্দোলনে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে। তাদের আশা এখন আকাশ ছোঁয়া, লক্ষ্যও স্পষ্ট।”
এনসিপির চলমান কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, “এনসিপির কাফেলা যখন শহর থেকে গ্রামে, মাঠ থেকে মোড়ে মোড়ে এগোচ্ছে, তখন তারুণ্যের জোয়ার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শিশুসহ হাজার হাজার তরুণ-তরুণী উৎসাহের সাথে এই যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে। তবে প্রশ্নও উঠছে—তারা কি পারবে সত্যিই টক্কর দিতে বিএনপি বা জামায়াতের মতো পুরনো দলের শক্তির বিরুদ্ধে?”
এই যাত্রাকে রাজনৈতিক পরীক্ষার অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, “এই যাত্রা আসলে একটি পরীক্ষা—বাংলাদেশের গণতন্ত্র কোন দিকে এগোবে। পুরো বিশ্ব দেখছে, এই তরুণ প্রজন্ম কীভাবে দেশের রাজনীতিকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে চায়। যদি তারা জনসমর্থন বজায় রাখতে পারে, তাহলে হয়তো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও তাদের পাশে দাঁড়াবে।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এক বার্তায় শফিকুল আলম বলেন, “এটি তৃণমূল পর্যায়ের সাংবাদিকদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ—যা কেবল একটি রাজনৈতিক আন্দোলনের সংবাদ নয়, বরং ইতিহাস রচনার অংশ হওয়ারও সুযোগ।” এই যাত্রায় চলমান স্বপ্ন, সংকট এবং পরিবর্তনের প্রক্রিয়াগুলো যদি আমরা তুলে ধরতে পারি, তাহলে এটি সাংবাদিকতার সীমানা ছাড়িয়ে এক যুগান্তকারী সময়ের একটি প্রামাণ্য দলিল হয়ে উঠতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যদি ফেসবুক বা এক্স-এর মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত প্রতিবেদন এবং ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ শেয়ার করি, তাহলে এই পরিবর্তনের লুকানো চিত্র স্পষ্টভাবে উন্মোচিত হতে পারে। আপনার লেখাগুলো হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক ভোরের পথচলার গুরুত্বপূর্ণ দলিল। সামনে এগিয়ে আসুন—লিখুন, আর এ রূপান্তরকালের একজন প্রত্যক্ষ অংশীদার হয়ে উঠুন।”