সেনা সদর দপ্তরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেট (স্টাফ কর্নেল) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পেলে সেনাবাহিনী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল ধরণের সহায়তা প্রদান করতে প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন বর্তমান বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেন। আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সেনাবাহিনী এখনও কোনও নির্দেশনা পায়নি। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পেলে সেনাবাহিনী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল ধরণের সহায়তা প্রদান করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহে সেনাবাহিনী বিভিন্ন ধরণের অপরাধে জড়িত ৫৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কিশোর গ্যাং সদস্য, তালিকাভুক্ত অপরাধী, ডাকাত এবং অন্যান্য অপরাধী রয়েছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী ১৫,৬৪৬ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার অভিযানে, সেনাবাহিনী গত দুই সপ্তাহে ২৬টি অবৈধ অস্ত্র এবং ১০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে এবং আগস্ট থেকে মোট ৯,৬৯২টি অবৈধ অস্ত্র এবং ২,৮৬,৮৫৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, চোরাচালান প্রতিরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযানের অংশ হিসেবে, ১৭ জুন সুনামগঞ্জ জেলায় প্রচুর পরিমাণে গলদা চিংড়ি উদ্ধার করা হয় এবং দুই চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও, ১৯, ২১ এবং ২৪ জুন সিলেটের বিভিন্ন স্থানে চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে অবৈধ প্রসাধনী এবং শাড়ি জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য চার কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের বিদ্রোহে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদানের জন্য সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে ৪,৭৯০ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, যার মধ্যে ২২ জন এখনও সিএমএইচ ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, সেনাবাহিনী দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং বিদেশী কূটনীতিক ও দূতাবাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে নিয়োজিত।