পশ্চিমবঙ্গের কসবায় কলেজছাত্রীকে গ*ণধ*র্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই আরও এক পড়ুয়াও জানিয়েছেন, জোর করে তাঁর প্যা*ন্টের চে*ন খুলে শা*রীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন ওই অভিযুক্ত। এবার তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেত্রী এবং অভিনেত্রী রাজন্যা হালদার। রাজন্যা অভিযোগ করেছেন, কসবাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি এআই (Artificial Intelligence) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর ন*গ্ন ছবি বানিয়ে তা বিভিন্ন মানুষের মোবাইলে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
এক সাক্ষাৎকারে রাজন্যা বলেন, “আমি জানি না অভিযুক্তের মোবাইলে আমার ছবি ছিল কি না। কিন্তু যে ধরনের আচরণ তিনি করেছেন, তাতে তাঁর বিকৃত মানসিকতার পরিচয় স্পষ্ট। আমার ছবি এআই দিয়ে তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনকি আমার স্বামী প্রান্তিকের কাছেও বিষয়টি পৌঁছে যায় তাঁরই জুনিয়রদের মাধ্যমে।”
তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ভেতরে এমন বিকৃত মানসিকতার আরও অনেকে আছেন। আমাদের নিজেদের ঘর আগে পরিষ্কার করতে হবে, তারপর অন্যের দিকে আঙুল তুলতে পারব।”
গত বুধবার কসবার একটি ল কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকেই একাধিক ছাত্রী তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। এক ছাত্রী জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি জোর করে তাঁর প্যান্টের চেন খুলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন। নারী হেনস্তা ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে মারধর, ভাঙচুর এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ রয়েছে।
রাজন্যার বক্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রাজন্যার বক্তব্যকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা, কারণ তিনি নিজেও দলে থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন এবং ছাত্র রাজনীতির অভ্যন্তরীণ পরিবেশ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
এদিকে, পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ডিজিটাল অপরাধ, নারী নির্যাতন এবং যৌন নিপীড়নের ধারায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে আরও চার্জ সংযুক্ত হতে পারে বলেও জানা গেছে।
এই ঘটনার পর তৃণমূল নেতৃত্ব এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য না করলেও, দলে অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা ও নারী নিরাপত্তা ইস্যুতে চাপ বাড়ছে বলেই পর্যবেক্ষণ বিশ্লেষকদের।