গুম-নি*র্যাতনের অভিযোগে ‘মুখ খুলতেই’ জাতিসংঘ প্রতিনিধি অবাঞ্ছিত

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি (Persona Non Grata) ঘোষণা করেছে ভেনেজুয়েলা। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রকাশ্য সমালোচনার জেরে দেশটির সংসদ মঙ্গলবার (১ জুলাই) সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে এক ভাষণে ভেনেজুয়েলার সরকারের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, গুম, এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন-পীড়নের অভিযোগ তুলেছিলেন তুর্ক। তিনি বলেন, “ভেনেজুয়েলায় মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন চলছে, যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করা হচ্ছে এবং নাগরিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।”

এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ভেনেজুয়েলার সংসদের প্রেসিডেন্ট জর্জ রদ্রিগেজ তুর্ককে অভিযুক্ত করেন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের জন্য। তিনি অভিযোগ করেন, “যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে তুর্ক নিশ্চুপ থাকেন, অথচ ভেনেজুয়েলাকে একতরফাভাবে দোষারোপ করেন।”

তুর্কের অতীত মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। চলতি বছরের মে মাসে এক বিবৃতিতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ভেনেজুয়েলান অভিবাসীদের এল সালভাদরের একটি আটক কেন্দ্রে নির্বাসনের বিষয়ে সমালোচনা করেছিলেন।

এই ঘোষণার তাৎক্ষণিক কূটনৈতিক বা আইনি প্রভাব না পড়লেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের স্থানীয় কার্যক্রম সীমিত করা বা কারাকাস থেকে অফিস বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিতে পারে ভেনেজুয়েলা।

উল্লেখ্য, ভেনেজুয়েলায় ২০২۴ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকেই সরকারবিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমনমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে আসছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। ভলকার তুর্কের সমালোচনা সেই ধারাবাহিক প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

Scroll to Top