গণঅধিকার পরিষদ জামায়াতে ইসলামীর সাথে একটি বৈঠক করেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উভয় দলই আগামী সংসদ নির্বাচন সংসদের আগে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভিত্তিতে করার দাবি জানিয়েছে। উভয় দলই একমত হয়েছে যে তারা পরবর্তী নির্বাচনে জোট গঠন করতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র। দলটি গত সপ্তাহেও বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে। নুরকে পটুয়াখালী-৩ আসনে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে সহায়তা করতে স্থানীয় নেতৃত্বকে চিঠিও দিয়েছিল দলটি। তবে ঐকমত্য কমিশনের সংস্কারের সংলাপে গণঅধিকারের অবস্থান বিএনপির বিপরীতে এবং জামায়াতের কাছাকাছি।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার জন্য যে বৃহত্তর নির্বাচনী চুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে তাতে জামায়াত এবং গণঅধিকারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গতকালের বৈঠকের পর জামায়াতের নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলি সহ অন্যান্য ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলির সাথে জোট গঠনে জামায়াত এবং গণঅধিকার পরিষদ একমত হয়েছে।
ড. তাহের বলেন, ঐক্যমত্য কমিশনের কিছু বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দেশের ছোট-বড় সকল দলের মতামত প্রতিফলিত করার জন্য উভয় দলই পিআর পদ্ধতি ব্যবহার করে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে। অকার্যকর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার কারণে জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই, আমরা সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছি। যদি দাবিগুলি বাস্তবায়ন না করা হয়, তাহলে আমাদের সাথে একমত এবং এই দাবিগুলি বাস্তবায়নকারী সকল দলকে একত্রিত করে আমরা সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের পদক্ষেপ নেব।
মতবিনিময় সভায় জামায়াতের পক্ষে ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম ও অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। গণঅধিকারের পক্ষে ছিলেন মুখপাত্র ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিলউজ্জামান, আব্দুজ জাহের, হাবিবুর রহমান রিজু ও রবিউল হাসান।