বিশিষ্ট অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের বলেন, ‘তুমি বরং আপাতত ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি করো, যা যা করেছ, সেসব তো আর সিসিটিভির কভারেজের মধ্যে করোনি। সেসব যখন প্রকাশ পাবে তখন কি বলবা সেই স্ক্রিপড রেডি করো।’
সোমবার সন্ধ্যায় তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে এই কথাগুলো বলেন।
জুলকারনাইন সায়ের তার পোস্টে বলেন, ‘সাধারণ নাগরিকদের জীবন সাধারণ থাকে, তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয় না, তাঁরা জীবনে প্রথম সুইজারল্যান্ড গিয়ে আরেকজনের টাকায় ফেন্ডির জ্যাকেট, ডিজাইনার ঘড়ি কেনে না।
তারা যখনই ইচ্ছা দুবাইতে যায় না, এবং তারা মানুষের দেওয়া টাকা দিয়ে দুবাই মলে কেনাকাটা করে না। সাধারণ নাগরিকরা চুক্তিতে কারসাজি করে না এবং অর্থ আত্মসাৎ করে না, তারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর লোকদের হাতে তুলে দেয় না এবং তাদের মাধ্যমে কমিশন অর্জনের ব্যবস্থা করে না।’
তিনি বলেন, ‘আর সরকার? সেটা হতে হয় জনগণের ভোটে, কারো কাঁধে চড়ে নয়। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার কভার লোকেশনে গিয়ে তাদের টেকনিক্যাল ম্যানুয়াল, বিমানে চাকরীরত সেনাপ্রধানের পেছনের সিটে বসে তাঁকে রেকর্ড করে নিয়ে আসা লোক আমরা, অপরাধের কেন্দ্রে গিয়ে তথ্য বের করে আনতে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, ‘তুমি বরং আপাতত ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি করো, যা যা করেছো, সেসব তো আর সিসিটিভির কভারেজের মধ্যে করোনি। সেসব যখন প্রকাশ পাবে তখন কি বলবা সেই স্ক্রিপড রেডি করো। আর আমাকে যারা তথ্য দেয় তাঁরা এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, বাটপার কিছিমের না যে ক্ষমতার আঁচ পেয়ে নিজ বাপের নামে ঠিকাদারির লাইসেন্স নেয়। আর ধরা খাইলে বলে আমি তো জানতামই না!’