সেনানিবাসে ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে জাতিসংঘের ৭৫ মিনিটের গোপন বৈঠক

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২:১৫ পর্যন্ত ঢাকা সেনানিবাসে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেনানিবাসের অন্তত দুটি সূত্র বাংলা আউটলুককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে যে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সাথে বৈঠকে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বলপূর্বক অন্তর্ধান কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং কমিশনের চার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

তবে আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর), জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়, গুম সংক্রান্ত কমিশন এবং আইসিটির পক্ষ থেকে বৈঠকটির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কিছু জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে আইসপিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মন্তব্য করেননি আইসিটির প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলামও। বৈঠকের পর পরই তাকে কয়েকবার ফোন করা হয়েছিল।

তবে আজ সকাল ১০:৩০ মিনিটে আইসিটি প্রসিকিউটর এবং মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর গাজী তামিম আইসিটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লিখেছেন, ‘প্রধান প্রসিকিউটর স্যার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকায় আজ আবু সাইদ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হচ্ছে না।’

গুম কমিশনের একজন সদস্য বাংলা আউটলুককে বলেন, সময় এলে গণমাধ্যম যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৈঠকের বিষয়ে জানতে পারবে।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি গুম কমিশন গঠন করে। এই কমিশন ইতিমধ্যেই তাদের কিছু গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১,৮০০ ভুক্তভোগীর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। আইসিটি ইতিমধ্যেই আলোচিত সমস্ত গুমের তদন্ত শুরু করেছে।

একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা গুমের বিচার শুরু করতে চান।

Scroll to Top