আম জনতা দলের সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান বলেন, আসিফ মাহমুদ মুরাদনগর ধর্ষণ মামলায় বিএনপিকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এটা তার নির্বাচনী এলাকা এবং আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে বেশ জোরে সোরে তার আয়োজন চলছে। ওইখানে যারা ধরা পড়ল, তাদের পরিচয় ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ এবং যে ভিডিও ধারণ করেছিল সেও কিন্তু আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগের হয়েও ভিডিওটা করে বিএনপির নামে ছাড়ল কে? এটা হলো প্রশ্ন।
তো আল্লাহর কী খেলা দেখেন, আসিফ মাহমুদ বা যে গং বিএনপিকে ফাঁসাতে চেয়েছিল। উল্টা ঘটনা ঘটে গেল। আসিফ মাহমুদ নিজেই কট খেয়ে গেল। আসিফ মাহমুদের ম্যাগাজিনসহ ধরা খেল বিমানবন্দরে।
রবিবার (২৯ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিওতে তিনি এই কথাগুলো বলেছেন। তারেক রহমান বলেন, যদি আপনি মানুষকে ফাঁসাতে চান, তাহলে আপনাকে নিজেকে ফাঁসাতে হবে এবং আসিফ মাহমুদও ক্ষমা চেয়েছেন। এটা ভালো যে তিনি আবার ক্ষমা চেয়েছেন। যে খবরগুলো খবরে পরিণত হয়েছিল সেগুলো পাঁচ মিনিটের মধ্যে আবার মুছে ফেলা হয়েছে।
ম্যাগাজিন সে নিরাপত্তার জন্য রাখতে পারে। সেই নিউজও হইতে পারে। এই নিউজটা যে ডিলিট করালো, এইটা কতটুকু ফ্যাসিবাদী আচরণ? যে ভিডিওটা ফাঁস হয়েছে, সায়ের ভাই ফাঁস করলে এই ভিডিওটা, এটা কিন্তু গুজব হিসেবে চালিয়ে দিত। কারণ জনগণের মূল তথ্যের ভিত্তি হলো নিউজ, আর সেই নিউজগুলো ডিলিট করা মানে কি? হয়ত ঘটনা মিথ্যা এবং এইটা কিন্তু আসিফ মাহমুদের ভক্তরা বলাবলি শুরু করছে যে এটা গুজব, এটা মিথ্যা। তিনি বলেন, রাজনীতি অনেক বড় একটা বিষয়।
রাজনৈতিক দলগুলিতে, ভালো মানুষ এবং খারাপ মানুষ সবাই একসাথে মিশে থাকে। তারা অন্যায় করবে, তাদের ধরা হবে, তাদের বহিষ্কার করা হবে। কিন্তু কোনও অপরাধ না করেই কাউকে ফাঁসানো, যা একটি ভয়াবহ অপরাধ। মুরাদনগরে ফাঁসাতে গিয়ে আজকে আসিফ মাহমুদ নিজেই ফেঁসে গেল। এই হলো অবস্থা।