জানা গেল কুমিল্লার সেই ধ*র্ষক ফজর আলীর রাজনৈতিক পরিচয়

পিনাকি ভট্টাচার্য নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে বলেন: কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রে, এর ভয়াবহতা, ভিকটিমদের নিরাপত্তা এবং বিচারের দিকে মনোযোগ দেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও, ফজর আলীর রাজনৈতিক ব্যাকআপ জানাও প্রয়োজন, তবে এই মুহূর্তে এটি ভিকটিমদের চাহিদাকে ছাপিয়ে যাওয়া উচিত নয়।

কেউই দ্বিমত পোষণ করেন না যে ফজর আলী আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতেন। তবে ৫ আগস্টের পর সে কাদের ইশারায় কাদের ব্যাক আপে এলাকায় আছে সেটি জানা তো আহামরি কঠিণ কিছু না৷ ব্যাকআপ না থাকলে তো সে লীগ হিসেবেই এক প্রকার দৌড়ের উপর থাকত।

সর্বোপরি এই ঘটনায় ভুক্তভোগী আমাদের বোন ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়সহ সবাইকে আহবান করছি।

বিশেষ করে যেহেতু এটি আমাদের ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ এবং সিনিয়র বিএনপি নেতা কায়কোবাদ সাহেবের এলাকা। তাদের দুজনেরই দ্রুত ভিকটিমদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

আর যদি প্রমাণিত হয় যে ৫ তারিখের পর ইউনিয়ন বা উপজেলা বিএনপির কেউ ফজর আলীকে আশ্রয় দিচ্ছে, তাহলে বিএনপিকে সকলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, কুমিল্লার মুরাদনগরে বিতর্কিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

গত শুক্রবার (২৭ জুন) ভুক্তভোগী নিজেই অভিযোগকারী হিসেবে মুরাদনগর থানায় অভিযুক্ত ফজর আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে ধর্ষণের ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে ঘটেছিল।

এর আগে, ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানান, ২৬ জুন রাত ৮টার দিকে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলীকে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এলাকার লোকজন আটক করে মারধর করে। পরে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের একটি ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়।

খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনি ব্যবস্থা নেয়। ভিকটিমের লিখিত বক্তব্যের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

জানা গেছে, ভিকটিমের দুই সন্তানের মা। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। আর অভিযুক্ত ফজর আলী বাহেরচরের পাঁচকিত্তা গ্রামের পূর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে।

Scroll to Top