সেনাপ্রধানকে সরাসরি দায়ী করল ফ্যাসিস্ট কামাল! ভাইরাল অডিও

প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট আসাদুজ্জামান খান কামালের একটি নতুন ফোনালাপ ভাইরাল হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের পলাতক শীর্ষ নেতা গণহত্যাকারী হাসিনার পতনের জন্য সরাসরি সেনাপ্রধানকে দায়ী করেছেন।

জুলাই গণহত্যার অন্যতম এই মাস্টারমাইন্ডের দাবি, সেনাপ্রধানের দৃঢ়তার অভাবে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছিল এবং এই কারণে অনেকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তার মতে, একজন জেনারেল যদি কঠোর হতেন, হুঙ্কার দিতেন তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যেত এবং জনগণকেও সুরক্ষিত রাখা যেত।

তিনি ফোনালাপে আরও দাবি করেছেন যে বিক্ষোভকারীদের ঢাকা শহরে, বিশেষ করে গণভবনে কোনও বাধা ছাড়াই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছিল। উত্তরায় তাদের দিকে ফুল ছুড়ে মারা হয়েছিল। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তাদের উপর সারাদেশে আক্রমণ শুরু হয় বলে দাবি করেন কামাল।

তিনি বলেন, ‘‘একজন জেনারেল যদি হুঙ্কার দিত যে, উনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন, সবকিছু মেনে নিয়েছেন। এখন তোমরা যার যার ঘরে যাও নাহলে আমরা অ্যাকশনে যাবো। এইটা যদি বলতেন, পুলিশ এবং আমরা মিলে যৌথভাবে অ্যাকশনে যাবো তোমরা ঘরে ফিরে যাও। আমরা আগেও দেখেছি জিয়াউর রহমান ও এরশাদ হুঙ্কার দিয়েছেন সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে, কেউ বের হয়নি।’’

‘‘উত্তরায় যখন পথ ছেড়ে দেওয়া হলো এবং তাদের ওপর ফুল ছিটানো হলো। এই ভিডিও চলে গেছে সমস্ত ঢাকায়। তখন যাত্রাবাড়ী পথ ছেড়ে দেওয়া হলে তারা শাহবাগের দিকে চলে আসে। মোহাম্মদপুরে মাদ্রাসার ছাত্ররা জড় হয়েছিল, তারাও চলে আসল। একজন সেনাপ্রধান গণভবনকে রক্ষা করতে পারে নাই এটা কি বিশ্বাস করেন’’ বলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সেনাপ্রধানকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ বলে অভিহিত করে ফ্যাসিস্ট কামাল আরও বলেন, তারা আমাদের বাইরে রেখে, আমাদের নামে মামলা দায়ের করে নির্বাচন করতে চায়। যাতে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারি। তারা এভাবেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। একটা নির্বাচন হয়তো করেও ফেলতে পারে। কারণ আমরা মে….হীন (সেনাপ্রধান) লোকের সাথে আছি তো।

সরাসরি খুনের সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বঙ্গবন্ধু যেমন বলেছিলেন, তোমরা যা আছে তা নিয়েই লাফিয়ে পড়ো। আমরা ধীরে ধীরে সেই দিকেই এগোচ্ছি।

কামাল বলেন যে ৫ আগস্টের পর তিনি প্রায় এক মাস বাংলাদেশে ছিলেন। তারপর ৯ সেপ্টেম্বর তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে যান।

ফোনে তিনি দলের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলি নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি দাবি করেন যে তাদের আইনজীবীদের আদালতে প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বিশ্বাস করেন যে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ তার দলের জন্য ‘আত্মঘাতী’ হবে।

Scroll to Top