এবার হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে যে আদেশ জারি করলো আদালত

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিদেশে পালিয়ে যাওয়া দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ এবং তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার বিদেশ যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৩ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

এর আগে, ১৬ জানুয়ারী আদালত প্রাক্তন মন্ত্রী হাসান মাহমুদ এবং তার পরিবারের ৭৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয়।

৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদকে দেশে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। এদিকে, গত ঈদে লন্ডনের একটি মসজিদে তিনি ঈদের নামাজ আদায় করেছিলেন বলে জানা গেছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ জানান, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের সাবেক এমপি হাসান মাহমুদ এবং তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার বিদেশ যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন দুটি আবেদন করেন। পরে বিচারক আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

হাসান মাহমুদের আবেদনে বলা হয়েছে যে, মন্ত্রী ও এমপি থাকাকালীন হাসান মাহমুদ অবৈধভাবে ১১.৫৫ মিলিয়ন টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজের, যৌথ উদ্যোগ এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩৯.৭৬ মিলিয়ন টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে। অর্থ পাচারের অভিযোগে ৬ এপ্রিল দুদক মামলা দায়ের করে। মামলার “সুষ্ঠু তদন্ত”-এর স্বার্থে তার বিদেশ ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা জরুরি।

নূরান ফাতেমার আবেদনে বলা হয়েছে যে নূরান ফাতেমা তার স্বামী হাসান মাহমুদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫৫.২ মিলিয়ন টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজের নামে, যৌথ উদ্যোগ এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত ৫৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬৮৩.১৫ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। ৬ এপ্রিল দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলার ‘সুষ্ঠু তদন্ত’-এর স্বার্থে তাকে বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত রাখা প্রয়োজন।

Scroll to Top