বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগ পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা তা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে ‘হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণের প্রাক্কালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি, তবে তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত। নির্বাচন কমিশন চাইলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে কিনা তা জনগণের অংশগ্রহণের উপর নির্ভর করে, কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের উপর নয়। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীও এই বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণ ভোট দিতে পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক।”
ভারতে শেখ হাসিনার আশ্রয় সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই তিনি বিচারের মুখোমুখি হোন। তবে, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান বাংলাদেশিদের জন্য বড় সমস্যা নয়, বরং তার নিয়মিত বক্তৃতা এবং মিডিয়ার সক্রিয়তা আরও ক্ষতিকারক।”
আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং সহানুভূতিশীলদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, “যদি কেউ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে তুলনা করে, তাহলে বুঝতে হবে যে তারা বাংলাদেশের বাস্তবতা বোঝে না।”
সাক্ষাৎকারের শেষের দিকে তিনি বলেন, “আমরা প্রতিশোধের কোনও রাজনীতি করছি না। আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সরকার গঠনের জন্য কাজ করছি।”