স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে উদ্দেশ্য করে ইশরাক হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে এত মূর্খ উপদেষ্টা কেউ দেখেনি।” বুধবার নগর ভবনে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি যে দেশের সকলের দাবি বর্তমান সরকারের কানে পৌঁছায়, কিন্তু আমাদের ঢাকা দক্ষিণ সিটির বাসিন্দাদের দাবি কেন তাদের কানে পৌঁছায় না? তারা এই বিষয়টির দিকে দেখেও দেখছে না, শুনেও শুনছে না।
আমরা বলতে চাই যে বর্তমান সরকারের এই ধরণের নব্য-স্বৈরাচারী মনোভাব আসলে আমাদের সকলকে হতবাক করেছে।”
ইশরাক ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন যে আন্দোলনের প্রথম দিনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এখান থেকে চলে যাওয়ার পর থেকে আমাদের সাথে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। তারা একবারও ভাবেনি যে আমাদের দাবি শোনা দরকার কিনা। তাছাড়া, পুরো সময় জুড়ে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে সমস্ত আইনি লড়াইয়ে জয়লাভ করার পরেও, তারা এই বর্তমান সরকারের পক্ষে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করে চলেছে।
তারা আমাদের আন্দোলন দমন করার, বিতর্কিত করার এবং জনগণের সামনে আমাদের কার্যক্রমকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা সম্পর্কে তিনি বলেন, “বর্তমান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাও আমাদের আন্দোলন সম্পর্কে ক্রমাগত মিথ্যাচার করে আসছেন। তিনি বারেবারে বলেছে, এখানে আইনি জটিলতা রয়েছে, সাব জুটিস ম্যাটার রয়েছে ও অন্যান্য কথা বলেছে। অথচ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ থেকে এই জিনিসটা বহু আগেই মীমাংসা হয়ে গেছে।
তারপরও, যদি তারা বলে যে এখানে আইনি জটিলতা রয়েছে, তাহলে আমি বলব যে বাংলাদেশের ইতিহাসে এত মূর্খ উপদেষ্টা কেউ কখনও দেখেনি।”
এ প্রসঙ্গে, ইশরাক সমর্থক এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা ১৪ মে থেকে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। পরে, ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নও এতে যোগ দেয়। ইতিমধ্যে, ঈদের ছুটিতে নগর ভবনে আন্দোলনে ইশরাক সমর্থকদের পাওয়া যায়নি। ঈদের ছুটির পর অফিস খোলার প্রথম দিন। ইশরাক সমর্থকরা রবিবার সেখানে আবার আন্দোলন শুরু করে