একসময় ফেসবুকে লগ ইন করার পর বন্ধুদের পোস্ট করা বিভিন্ন ভিডিও আপনার টাইমলাইনে দেখতে পেতেন—কখনো মজার, কখনো তথ্যবহুল, কখনো আবেগঘন। কিন্তু সেই পরিচিত অভিজ্ঞতায় বড় পরিবর্তন আসছে। কিন্তু সেই চেনা অভিজ্ঞতায় আসছে বড় পরিবর্তন। ভিডিও কনটেন্ট নিয়ে নতুন পথেই হাঁটছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক।
‘পুরানো নিয়ম’ ভেঙে, মেটা আর ফেসবুকে আলাদা ভিডিও ট্যাব না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমস্ত ভিডিও কন্টেন্ট এখন রিল হিসেবে দেখা হবে। অন্য কথায়, রিল ফেসবুকের প্রধান ভিডিও ফরম্যাটে পরিণত হচ্ছে।
মেটা জানিয়েছে যে ফেসবুক অ্যাপে ‘ভিডিও’ ট্যাবটি এখন থেকে ‘রিল’ নামে পরিচিত হবে। শুধু তাই নয়, রিলসে পূর্বে যে ৯০ সেকেন্ডের সময়সীমা ছিল তাও সরানো হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ব্যবহারকারীরা এখন রিল আকারে লম্বা ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন—সেটা গল্প, তথ্য বা বিনোদন—সবই এক জায়গায়।
এই পরিবর্তন কেবল প্রযুক্তিগত নয়,বরং মেটার ভবিষ্যৎ দর্শনের প্রতিফলন। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি চান ফেসবুক আবার হয়ে উঠুক ‘সাংস্কৃতিকভাবে প্রভাবশালী’ এক মাধ্যম, যেখানে পুরোনো দিনের ক্ল্যাসিক ফেসবুকের আবহও থাকবে, আবার থাকবে আধুনিক রূপ।
মনে হচ্ছে ভিডিও কন্টেন্টকে সেই চেতনায় পুনর্গঠিত করা হচ্ছে। রিলস-ভিত্তিক কনটেন্টের দিকে ঝুঁকে ফেসবুক বুঝিয়ে দিচ্ছে, তারা আর শুধু স্ট্যাটাস বা লাইকেই আটকে থাকতে চায় না—তারা চায় মানুষ দেখুক, শুনুক, অনুভব করুক।
মেটার সাম্প্রতিক একটি ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে যে ভিডিওর ধরণ অনুসারে কন্টেন্ট সাজেশন দেওয়ার পদ্ধতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে, সমস্ত ভিডিও রিল ফর্ম্যাটে যাবে, যাতে ব্যবহারকারীরা আরও সহজে এবং দ্রুত কন্টেন্ট উপভোগ করতে পারেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন যে যখন টিকটক এবং ইউটিউব শর্টসের মতো ছোট ভিডিও ফর্ম্যাটগুলি বিশ্ব দখল করছে, তখন ফেসবুকও সেই ট্রেন্ডে সামিল হয়ে নতুন করে জায়গা করে নিতে চাইছে তরুণদের মনোযোগে।
সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে যে এখন থেকে ফেসবুকে ভিডিও মানে রিল। আর সেই রিলগুলো হবে নতুন গল্প বলার মঞ্চ, যেখানে সময়ের বাঁধন শিথিল, আর ভাবনারা আরও উড়ন্ত।
কিন্তু শেষ কথা হলো—আপনি কি প্রস্তুত? কারণ ফেসবুক ভিডিওর জগতে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে!