জামায়াতে ইসলামীকে বেশি কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং পিপলস ফোরাম। তবে, দশ মিনিট পর দলগুলো সংলাপে ফিরে আসে।
দ্বিতীয় দফার সংলাপের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল ১১:৩০ মিনিটে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শুরু হয়। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর দুপুর ২:৪৫ মিনিটে সংলাপ আবার শুরু হয়। এক ঘন্টা পর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বেরিয়ে আসেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স নীচে এসে বললেন, ‘এখানে বৈষম্য হচ্ছে, জামায়েতের তিনজনকে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। আমাদের একজন বক্তব্য দিতে গেলেও বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ জানালে, কমিশন তা নোট করে। তাই আবার সংলাপে ফিরে যাচ্ছি।’
এর আগে, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, ‘ঐক্যমত্য কমিশন তার নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে। যদি তারা নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে কমিশন সংলাপে ফিরে আসবে না।’
সিপিবি এবং গণফোরাম নেতাদের সংলাপে ফিরিয়ে নিতে নেমে আসেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। ছিলেন বিএনপির সমমনা দল বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহছান হুদা।
শাহাদাত সেলিম বলেন, উনাদের জামায়াত বলেছেন, আপনারা তো ১০ জন মানুষের প্রতিনিধিত্বও করেন না। আমরা কতজনের প্রতিনিধিত্ব করি। সেলিম আরও জানান, তিনি ওয়াক আউট করেননি। সমঝোতা করেছেন। এরপর দলগুলো সংলাপে ফিরে যায়।