অভিযোগ উঠেছে যে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি একজন ছাত্রলীগ নেতাকে টাকার বিনিময়ে সক্রিয় বিএনপি কর্মী হিসেবে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে বিএনপির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে, ছাত্রলীগ নেতার নাম ভুল করে উল্লেখ করা হয়েছে বলে সার্টিফিকেটটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর দেড়টায় পল্টন এলাকায় হত্যাচেষ্টার ঘটনা দেখিয়ে গত ৮ মে পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের মো. বেল্লাল হোসেন। মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে ১২৩ জন আসামির মধ্যে ১১৯ নম্বর ক্রমিকে দেওয়া হয়েছে পটুয়াখালীর মহিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. গোলাম রাব্বি খানকে।
মামলা দায়েরের পর, চম্পাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ১২ জুন এই তালিকা থেকে ৮ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন। তালিকায় রাব্বির নাম ৫ নম্বরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, ৫ তারিখ থেকে বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাঁচাতে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
চম্পাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক মো. মিলন মুন্সী বলেন, আমি ও সভাপতি বিএনপির দুর্দিনের কর্মী। ৫ তারিখের পর নেতা হয়েছি এমন নয়। রাব্বি খানের নাম বিএনপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে সুপারিশ তালিকায় ভুলবশত এসেছে, যা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার বলেন, ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি খানের নামসহ সুপারিশ তালিকা ভুয়া।
এ বিষয়ে মামলার বাদী বেলাল হোসেন বলেন, মামলায় অন্তর্ভুক্ত সকলেই আওয়ামী লীগের লোক। এটা দুঃখজনক যে কিছু বিএনপি নেতা তাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছে এবং তাদের বিএনপি হিসেবে সুপারিশ করেছে এবং তাদের সার্টিফিকেট দিয়েছে।