সরকারি সফর হলে স্টারমার কেন সাক্ষাৎ দিলেন না, প্রশ্নে যা বললেন ড. ইউনূস

যুক্তরাজ্যে চার দিনের সফরকে ‘সরকারি সফর’ বলা হলেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার কেন সাক্ষাৎ দিলেন না, সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনূসকে। ১২ জুন ‘কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করতে যাওয়ার আগে, বিবিসির সাংবাদিক রজনী বৈদ্যনাথন তাকে এই প্রশ্নটি করেছিলেন। বিবিসির সাংবাদিক আরও জানতে চেয়েছিলেন যে স্টারমার তাঁর সাথে দেখা না করায় ড. ইউনূস কতটা হতাশ।

রাজিনি বৈদ্যনাথনের প্রশ্ন এবং ড. ইউনূসের উত্তরের অডিও শোনানো হয় বিবিসির ‘দ্য ওয়ার্ল্ড টুনাইট’ অনুষ্ঠানে।

সেখানে, বিবিসির উপস্থাপক ড. ইউনূসকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘এই সফরকে ‘সরকারি’ বলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর (কাইর স্টারমার) সাথে আপনার কোনও বৈঠক হয়নি। তিনি জানতে চান কেন কাইর স্টারমারের সাথে কোনও বৈঠক হয়নি?’

এই প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা তাঁর (কাইর স্টারমার) সাথে দেখা করতে খুব আগ্রহী ছিলাম। হয়তো তিনি ব্যস্ত ছিলেন অথবা অন্য কোনও কারণে এটি সম্ভব হয়নি।

তবে এতে করে আমার জন্য একটা বড় সুযোগও তৈরি হয়েছে। এখন যেহেতু তিনি ব্যস্ত, আমি তাকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা একসঙ্গে সময় কাটাতে পারব, যা ঘটছে তা দেখাতে পারব, এবং তিনি পুরো পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারবেন। এটা ইতিহাসের একটি বিশেষ মুহূর্ত, যার মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি।

একভাবে, আমরা অতীতকে পিছনে ফেলে নতুন ভবিষ্যৎ শুরু করছি।

এর পরে, রজনী বৈদ্যনাথন জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি বলছেন যে তিনি ব্যস্ত। কিন্তু আপনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা,আপনি তার রাজনৈতিক সমমর্যাদার ব্যক্তি। যুক্তরাজ্যে এখানে প্রায় দশ লক্ষ বাংলাদেশী আছেন। বাংলাদেশী সংস্কৃতি ব্রিটিশ জীবনের সাথে গভীরভাবে মিশে আছে।

তাহলে আপনি কতটা হতাশ যে যুক্তরাজ্যে আপনার কয়েক দিনের সফরে তিনি সময় বের করতে পারলেন না?’

জবাবে, ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি জানি না আমি হতাশ হব কি না। কোনো কারণে একটা সুযোগ হারাল, আমি জানি না। এজন্যই বলেছি, তার বাংলাদেশে আসা উচিত। একটু নির্ভার থাকবেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি উপলব্ধি করবেন, এই মুহূর্তের মর্ম বুঝতে পারবেন।’

তবে, কেয়ার স্টারমারের অফিস ডাউনিং স্ট্রিট কি এই বৈঠকের আয়োজন না করার কোনও কারণ জানিয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি যতদূর জানি, তারা কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি। হয়তো তিনি অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত আছেন।”

Scroll to Top