ভিপি নুরের জন্ম না হলে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান এই বাংলাদেশে হতো না

“জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শত শত শিশু ও সাধারণ মানুষের রক্তে হাত রঞ্জিতকারীদের বিচারের মাধ্যমেই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে,” গলাচিপা উপজেলার নবগঠিত ছাত্র অধিকার পরিষদের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর প্রাক্তন ভিপি নুরুল হক নূর এ কথা বলেন।

বুধবার (১১ জুন) গলাচিপা অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত সভায় তিনি আরও বলেন, “ডাকসুর নির্বাচন কিংবা ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন না হলে আজকের আসিফ, নাহিদসহ অনেক ছাত্রনেতা গড়ে উঠতো না। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে যারা ছিলেন, তাদের একটি বড় অংশকে আমরা তৈরি করেছি, উৎসাহ দিয়েছি।”

তিনি বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “তারা ২০১৮ সালের নির্বাচন মেনে নেয়নি, তবুও সেই দলের সাতজন সংসদ সদস্য সংসদে প্রবেশ করেছেন। সুতরাং, রাজনৈতিক কৌশলটি বোঝা উচিত – একদিকে রাস্তায় প্রতিবাদ করা, এবং অন্যদিকে, সংসদে সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে কথা বলা।”

নুর বলেন, “আমি একজন ছাত্র সংসদের ভিপি হিসেবে গণভবনে যাই বা না যাই, সেটি মুখ্য নয়। আসল বিষয় হলো—আমরা রাজনীতিতে আপস করিনি, নৈতিকতা বিসর্জন দিইনি, বিবেক বিক্রি করিনি। যতটুকু সুযোগ পেয়েছি, দেশের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগিয়েছি। আজকে আমাকে নিয়ে ট্রল হয়, ভিডিও ছড়ানো হয়—কিন্তু এই বয়সেই আমরা যে ভূমিকা রেখেছি, তা অনেকের পূর্বপুরুষেরাও রাখতে পারেনি। যদি ভিপি নূরের জন্ম না হতো, যদি ছাত্র অধিকার পরিষদ সৃষ্টি না হতো, যদি ডাকসু নির্বাচন না হতো—তাহলে ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানও এই দেশে হতো না।”

Scroll to Top