শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য জিরো টলারেন্স নীতির প্রতি তার অবস্থানের কথা উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন যে,ব্যক্তিগতভাবে তাকে একটি বদলির জন্য এক কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে বুধবার (৪ জুন) সাংবাদিকদের সাথে এক বৈঠকে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির কথা তুলে ধরে শিক্ষা উপদেষ্টা এই কথা বলেন।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একটি বড় পদের পদায়নের জন্য আমার কাছে তদবির এসেছিল। তার জন্য প্রথিতযশা একজন কম্পিটিড ইন্সটেকচেলিয়াল (বুদ্ধিজীবী) তদবির করেছিল। পরে তার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখি তিনি ওই পদের জন্য যোগ্য নন। তখন আমরা তাকে প্রত্যাখ্যান করি। পরবর্তীতে তিনি অন্য মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এবং সে আমাকে একটা অ্যামাউন্ট অফার করেন। টাকাও আমি বলে দেই এক কোটি টাকা অফার করেছিলেন। তিনি যাকে দিয়ে বলেছিলেন তিনি আমার পরিচিত। যিনিও একটি প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন। আমি আর বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না। আমি বুঝাতে চাচ্ছি আমার সহকর্মী যারা আছে তারা যেন নৈতিক অবস্থানে স্থির থাকবেন। আমি পদে থাকা অবস্থায় কোন দুর্নীতি সহ্য করব না।
ড. আবরার বলেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে দুর্নীতির কথা শুনি। আমার কাছে আসা সংবাদপত্রের বেশিরভাগ কাটিংয়েই দুর্নীতির খবর থাকে। তবে, কোনটি সত্য এবং কোনটি নয় তা যাচাই করার ক্ষমতা আমাদের সবসময় থাকে না। তবে, যেখানেই ঘটনা ঘটুক না কেন, আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট – জিরো টলারেন্স।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ. এম. কবিরুল ইসলাম, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার এহসানুল কবির এবং মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।