প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৯ জুন ৪ দিনের সফরে লন্ডন যাচ্ছেন। গুঞ্জন রয়েছে যে এই সময়ে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে দেখা করতে পারেন। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে বিষয়টি এখনও প্রধান উপদেষ্টার ভ্রমণসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বুধবার (৪ জুন) বিকেলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেছেন যে এই সফরে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
লন্ডন সফর ঘিরে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন অঙ্গনে ইতিমধ্যেই আলোচনা চলছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে পারেন। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক থাকলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়টি সূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
কিন্তু যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বলতে ওখানে যারা রাজনীতির সাথে আছেন সেটা কনজারভেটিভ হোক বা লেবারের হোক অথবা অন্য কোনো দলের হোক, মানে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যক্তি যারা আছেন তাদের সঙ্গে মিটিংয়ের কথা বলেছি। আসলে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে মিটিংয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই।’
ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্তদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার কোনও সুযোগ নেই।
১১ জুন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে এই সফরে কোনও সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে না। এ ছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা ১২ জুন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের সাথে দেখা করবেন। একই দিন বিকেলে সেন্ট জেমস প্যালেসে রাজার কাছ থেকে কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।