জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক সরজিস আলম তাজউদ্দিন আহমেদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বুধবার (৪ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফাইড আইডি থেকে এক পোস্টে তিনি এমন প্রশ্ন তুলেছেন।
পোস্টে সরজিস আলম লিখেছেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ধরে নিয়ে যায় এবং বিজয়ের পর পর্যন্ত পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করে রাখে। মুক্তিযুদ্ধের আগে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না। তাজউদ্দিন আহমেদ মাঠ থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কীভাবে তার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়?’
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কাজ ছিল আওয়ামী লীগ আমলে যারা নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার নামে সুযোগ-সুবিধা পেতেন তাদের খুঁজে বের করা এবং তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা।’ কিন্তু তা না করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মাঠে থেকে যারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় সরাসরি অবদান রেখেছেন তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাতিল করার মতো অপ্রয়োজনীয় কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইতিহাস যেন কখনো ক্ষমতাসীনদের পক্ষের না হয়। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দেয়া উচিত।’
লক্ষ্যণীয় যে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদ (এমএনএ/এমপিএ), যাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী তাজউদ্দিন আহমেদও ছিলেন, তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশে এই নেতাদের পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ মে) রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদ বিভাগ এই অধ্যাদেশ জারি করে।