আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, পদত্যাগ চাইনি। কিন্তু সরকার পদত্যাগের নাটক করেছে,—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হোক। একটি নিরপেক্ষ সরকার, গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমরা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। আমাদের সবার প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত—বাংলাদেশ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী বাংলাদেশ হবে একটি নতুন বাংলাদেশ।”
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক এই কর্মসূচি আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এতে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ফরিদপুর বিভাগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই যেখানে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকবে। ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা চলছে। আমরা যেন ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন ও লুটপাট ভুলে না যাই। গণতন্ত্রের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি—এটা যেন কেউ ভুলে না যায়। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ব্রিটিশ শাসনের সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দুইশো বছরে যত সম্পদ লুট করেছিল, তার চেয়েও বেশি লুট করেছে আওয়ামী লীগ। তারা ৩০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, খেলাপি ঋণ এখন ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি। বিদ্যুৎ ও ব্যাংক খাতে লুটপাট করেছে। যতো টাকা লুট হয়েছে, তা দিয়ে ৩৬টি পদ্মা সেতু বানানো যেত। আমাদের একমাত্র শত্রু আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা। কারণ তারা কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। তারা গণতন্ত্র হত্যাকারী।”
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়ছি, তাদের আজ বিদেশি এজেন্ট বলা হচ্ছে। অথচ যারা আমাদের বাধা মনে করছে, তারাই এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না এবং সঞ্চালনায় ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির। সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।