নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে জয়লাভ করার পরও বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী ইশরাক হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে শপথ গ্রহণ না করলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে – এই আইনি বাধ্যবাধকতা সোমবার (২৬ মে) বিকাল ৪টায় শেষ হয়েছে।
শেষ দিনে শপথ নেওয়ার মরিয়া চেষ্টায় মাঠে নামে ইশরাকের আইনজীবী ও রিটকারী পক্ষ। হাইকোর্টের আদেশের আলোকে শপথ গ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য তারা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মন্ত্রণালয় কোনও মতামত দেয়নি। এমন অবস্থায় শপথ পড়ানো সম্ভব হয়নি ইশরাককে।
ইশরাক হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, “সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ গ্রহণ করতে দেয়নি। এটি আদালত অবমাননার শামিল। আমরা হাইকোর্টে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”
রিট আবেদনকারীরা হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। ইশরাকের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এবং আদালতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
এদিকে, বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ইশরাকের দল ও সমর্থকরা বলছেন, এটি ‘অদৃশ্য এক খেলা’র অংশ, যেখানে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাকে শপথ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
শেষ মুহূর্তে উভয় পক্ষই কিছুটা নমনীয় হলেও আইন মন্ত্রণালয়ের নীরব ভূমিকার কারণে শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি। ফলস্বরূপ, প্রশ্ন থেকেই যায় – শপথ না নেওয়ার এই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কে জিতেছে?
