২৪৯ ভোট পাওয়া লোক এখন উপদেষ্টা, আমরা শঙ্কিত: কায়সার কামাল

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, “আমরা যখন দেখি যে ২৪৯ ভোট পাওয়া ব্যক্তি এখন একজন উপদেষ্টা, তখন আমরা উদ্বিগ্ন।”

তিনি বলেন, “আমি উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে কথা বলতে চাই না। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। উপদেষ্টা পরিষদের তালিকা দেখলে আমরা উদ্বিগ্ন হই। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে মাত্র ২৪৯ ভোট পেয়েছিলেন এমন একজন ব্যক্তি আছেন। তিনি এখন একজন উপদেষ্টা।”

রবিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের গ্রেপ্তারের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

কায়সার কামাল বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ আশা করেছিল যে বাংলাদেশে রাজনীতির এক নতুন ধারা শুরু হবে। কিন্তু যারা এখন (উপদেশক পরিষদ) নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা হলেন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তাদের কথা থেকে যে গুরুত্বের কথা আসা উচিত ছিল তা আসেনি। সেজন্য মানুষ বলে, আন্ডার নাইন্টিন। এর মধ্যে শুনলাম, সুপ্রিমকোর্টের আদেশের ব্যাপারে কথা বলেছে। ফেসবুকে ওর ব্যাকগ্রাউন্ড দেখলাম। একসময় নাকি ছাত্রলীগ করতো। তখন মনে পড়ল যুবলীগের শেখ ফজলুল হক মনির কথা। ১৯৭৩ সালে আদালত অবমাননার কারণে তাকে তলব করা হয়েছিল। তার ছেলে তাপসের বিরুদ্ধেও আদালত অবমাননার মামলা হয়েছিল। এখন আবার আরেকজন, সে নাকি ছাত্রলীগ করতো। আমরা যদি আওয়ামী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ দেখি, যিনি এ কথা বলেছেন- তাদের সঙ্গে তার মিল পাওয়া যায়। আমরা অনুরোধ জানাব, থামান। দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে নিয়ে কথা বলার আগে দ্বিতীয়বার চিন্তা করুন। বালখিল্য কথা সব জায়গায় মানায় না। রাজনীতির মাঠে আন্ডার নাইন্টিন হিসেবে অনেক ফাউল করেছেন। সুপ্রিমকোর্টের ক্ষেত্রে সতর্ক হবেন।’

প্রতিবাদ সমাবেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, শেখ হাসিনার দোসর আইন কর্মকর্তাদের পদত্যাগ এবং দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদী নিম্ন ও উচ্চ আদালতের বিচারকদের পদত্যাগের দাবি জানায়।

প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের আহ্বায়ক এম. বদরুদ্দোজা বাদল। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সদস্য সচিব জাগি তৌহিদুল ইসলাম।

Scroll to Top