৭ মাস ধরে নারীকে বাসায় আ-টকে ধ-*র্ষণ করছিলেন নোবেল (ভিডিও সহ)

গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল সাত মাস ধরে এক ছাত্রীকে ঘরে আটকে রেখে ধ*র্ষণ ও নির্যাতন করে আসছিলেন। জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে কল পেয়ে বাসাটি থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।

পরে নোবেলকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (২০ মে) ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান এই তথ্য জানান। সোমবার রাতে রাজধানীর ডেমরা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি মাহমুদুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারি যে নোবেল গত নভেম্বরে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে গুলশানে দেখা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফোন করেছিলেন। তিনি তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেয়ায় এবং তাকে ডেমরার একটি বাড়িতে সাত মাস ধরে আটকে রেখে নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন। তিনি এই ঘটনাগুলি তার মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেছিলেন। তিনি এই ভিডিওটি দিয়ে ছাত্রীকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করতেন।

ওসি বলেন, সম্প্রতি নোবেল এক নারীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে নামাচ্ছেন, এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। ভিডিওতে থাকা নারীই এই ভুক্তভোগী ছাত্রী। ভিডিওটি দেখে ছাত্রীর মা–বাবা টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে বিস্তারিত জানতে পারেন। পরে তারা জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে ঘটনা জানান। গতকাল রাত ১০টার দিকে ডেমরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তখন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নোবেল পালিয়ে যান।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল রাত ২টার দিকে ডেমরা এলাকা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সীমান্ত দিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন নোবেল। এ জন্য তিনি একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করেছিলেন, কিন্তু পালানোর আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান।

Scroll to Top