শাহজালাল থেকে উড্ডয়নের পরই বিমানে আ*গুন, যেভাবে বাঁ*চলেন ২৯০ যাত্রী

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই একটি তুর্কি এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে আগুন ধরে যায়। সোমবার (২০ মে) সকাল ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ইঞ্জিনের একটিতে কারিগরি সমস্যার কারণে আগুন লেগে যায়। তবে পাইলটের দ্রুত সিদ্ধান্ত এবং দক্ষতার কারণে জরুরি অবতরণ সম্ভব হয়। ফলে ২৯০ জন যাত্রী ও ক্রু বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগিব সামাদ বলেন, “উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর উড়োজাহাজটির এক ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে পাইলট সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারেন এবং ফ্লাইট কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি অবতরণ করেন। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।”

জানা গেছে, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই উড়োজাহাজের ভেতরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক যাত্রী চিৎকার করতে থাকেন, তবে কেবিন ক্রুরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত জরুরি অবতরণের মাধ্যমে সবাই নিরাপদে উড়োজাহাজ থেকে নেমে আসতে সক্ষম হন।

ঘটনার পর উড়োজাহাজটিকে তদন্তের জন্য গ্রাউন্ডেড (নিচে নামিয়ে রাখা) করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAAB) ও তুর্কি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ওই ফ্লাইটে বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিলেন, যারা তুরস্ক হয়ে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছিলেন।

এই ঘটনার পর শাহজালাল বিমানবন্দরে অন্যান্য ফ্লাইট পরিচালনায় সাময়িক প্রভাব পড়ে। তবে দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।

এই দুর্ঘটনা প্রমাণ করে, দক্ষ পাইলট ও আধুনিক কন্ট্রোল সিস্টেমের কারণে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ উদঘাটনের পর বিস্তারিত জানানো হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

Scroll to Top