আদালত অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। একই সাথে তার জামিন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২২ মে। সোমবার (১৯ মে) সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নুসরাত ফারিয়াকে পুলিশি পাহারায় সকাল ৯:৫৮ মিনিটে কারাগার থেকে বের করে আনা হয়। সেই সময় তার পরনে ছিল সাদা মাস্ক, হেলমেট এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। তাকে হেঁটে আদালতের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সকাল ১০টায় তার হেলমেট খুলে তাকে কাঠগড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সে মুখ থেকে সাদা মাস্ক খুলে হাঁপাতে থাকে। সে পুলিশের কাছ থেকে পানির বোতল নিয়ে পানি পান করে। তারপর সে বিপরীত দিকে ঘুরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। সকাল ১০:০৫ মিনিটে বিচারক যখন আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন, তখন সে পিছনে ফিরে তাকাল। সেই সময় সে ঘুরে তার দুই হাত কাঠগড়ার রেলিংয়ে রাখে।
আরও জানা যায়, নুসরাত ফারিয়ার জামিন শুনানি শুরু হয়েছে সকাল ১০:০৮ মিনিটে। শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন, আসামিপক্ষ একজন প্রখ্যাত শিল্পী। তিনি গত বছরের ৯ জুলাই শুটিং করতে কানাডা যান। সেখান থেকে তিনি ওই বছরের ১৪ আগস্ট দেশে ফিরে আসেন। আমরা সেই নথিপত্র জমা দিয়েছি। তিনি আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। এই ঘটনায় তার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। তিনি আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত নন। ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমরা তার জামিন চাইছি। সেই সময় তিনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিলেন। এ সময় তার চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠে এবং তিনি কেঁদে ফেলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল ভূঁইয়া অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে আটক রাখার অনুরোধ করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত তাকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দেন।
রবিবার (১৮ মে) সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার পথে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে বিকেলে ফারিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্টো রোডে গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।