দুই ঘণ্টার মধ্যেই ‘ভারতের কান্না পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াশিংটনে’: আহসান ইকবাল

পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেছেন, ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান এমন শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে যে “মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের কান্না গিয়ে পৌঁছেছে ওয়াশিংটনে।”

শনিবার (১৮ মে) নারোওয়াল জেলায় একটি উদ্ধারকাজ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আহসান ইকবাল বলেন, “আমাদের নেতৃত্ব এখন আর দ্বিধাগ্রস্ত নয়। ‘হামলা করবো কি না’ এই প্রশ্ন এখন আর করা হয় না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ও জবাব দেওয়ার সাহস আমাদের আছে।”

তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও আধুনিক সামরিক সক্ষমতার কারণে ভারতের মাল্টি-মিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমানগুলো ‘জং ধরা ধাতব টুকরোতে’ পরিণত হয়েছে।

তার ভাষায়, বর্তমান নেতৃত্ব ও সেনাবাহিনী মিলে প্রমাণ করেছে—যুদ্ধ সংখ্যা দিয়ে নয়, দক্ষতা দিয়ে জেতা হয়।

পাকিস্তান সরকার সম্প্রতি ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’ সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত হামলাকে ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পেহেলগাম হামলার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে, যা পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বহন করে। পাকিস্তান ওই ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রস্তাব দিলেও ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে।

পরে ভারত পাকিস্তানের মুরিদকে, বাহাওয়ালপুর এবং মুজাফ্‌ফরাবাদে বিমান হামলা চালায়, যাতে বেসামরিক নাগরিক ও ধর্মীয় স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সীমিত আকারে কিন্তু নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক প্রতিক্রিয়া দেয়, যা শুধুমাত্র ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপরই সীমাবদ্ধ ছিল।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, পাকিস্তান ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে, এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর করেছে এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, ভারত ড্রোন ব্যবহার করে সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করেছে।

পেহেলগাম, যেটি পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, সেখানে হামলার পর ভারত দ্রুত পাকিস্তানকে দোষারোপ করে। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সেই দাবিকে সন্দেহের চোখে দেখে ও কিছু অসঙ্গতি তুলে ধরে।

প্রতিবেদনের শেষে পাকিস্তান সরকার জানায়, তারা সবসময় শান্তির পক্ষে, তবে দেশের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। “যুদ্ধ আমরা চাই না, কিন্তু প্রয়োজন হলে আমরা নিরুত্তর থাকব না,”—বলা হয় প্রতিবেদনে।

Scroll to Top