থাইল্যান্ড যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। এরপর শোবিজ অঙ্গনে গুঞ্জন উঠে যে পর্দার শেখ হাসিনা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সেবা করতে থাইল্যান্ড যাচ্ছিলেন।
অনেকেই বলছেন যে অসুস্থ আব্দুল হামিদের সেবা করার জন্য নুসরাত ফারিয়াকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বিমানবন্দরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ায় তিনি আব্দুল হামিদের কাছে যেতে পারেননি।
নুসরাত ফারিয়া সর্বদা আলোচনা ও সমালোচনার মুখে রয়েছেন। কখনো খোলামেলা পোশাক কিংবা বিকিনিতে ফটোশুট করেছিলেন নেটিজেনদের তোপের মুখে।
দু’একটি ছাড়া তেমন কোনো সিনেমা আলোর মুখ না দেখলেও রাজকীয় লাইফস্টাইল এবং দেশ-বিদেশে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে ব্যাপক চর্চিত ছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে ফারিয়া প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে গোপন সম্পর্কে ছিলেন।
এই কারণে, তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
এমনকি তিনি পলকের হাত ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কারণ নুসরাত ফারিয়াও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য মনোনয়ন প্রার্থী হিসেবে গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।
তবে, পলকের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার পরেও, ঢালিউড অভিনেত্রীর এমপি হওয়ার ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর নুসরাত ফারিয়ার জনরোষের মুখে পড়েন।
কারণ দেশের একটি বেসরকারি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফারিয়া বলেছিলেন, ‘প্রতিটি বাঙালি মেয়ের মধ্যেই একজন হাসিনা থাকে।’
সেই কারণেই হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নেটিজেনরা তাকে আওয়ামী লীগের সহযোগীও বলছেন।
সম্প্রতি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ থাই এয়ারওয়েজের একটি অত্যন্ত গোপন ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন। তার চলে যাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
মামলা দায়েরের পরও প্রশ্ন ওঠে, আবদুল হামিদ কার সাহায্যে দেশ ছেড়েছেন। সেই ঘটনার পরপরই, একই দেশে ভ্রমণের সময় বিমানবন্দরে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয়।
যদিও ফারিয়া কেন থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করছিলেন সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।
তবে পুলিশ বলছে যে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাটারা থানায় ফারিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টার মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। সেই কারণেই তাকে আটক করা হয়েছিল।