গভীর রাতে এক ব্যতিক্রমী প্রতিবাদে অংশ নেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা ৪৫ মিনিটে তিনি হাজির হন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর ঢাকার ডিওএইচএস এলাকার বাসার নিচে। উদ্দেশ্য—শেরেবাংলা থানার আহ্বায়ক জিল্লুর হোসেনকে ‘অন্যায়ভাবে’ আটকের ব্যাখ্যা চাওয়া।
নুর বলেন, “আমাদের সহযোদ্ধা জিল্লুর হোসেনকে এনবিআরের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কারণে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনবিআর এই মামলা করেছে মূলত সরকারি একটি মহলের ইন্ধনে।”
নুর অভিযোগ করে বলেন, “বর্তমানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রভাবশালী উপদেষ্টা ও আমলারা নিজেদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছেন এবং তাদের রক্ষা করছেন। এনবিআরের চেয়ারম্যান সেই আমলাতান্ত্রিক বলয়ের অংশ, যিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সচিব ছিলেন। এখন তিনি চেয়ারম্যান, তাই তার বিরুদ্ধে কিছু বললেই মামলা—এই ধারা একেবারে শেখ হাসিনা স্টাইল। এ ধরনের ভয়ভীতির রাজনীতিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি।”
তিনি বলেন, “এ কারণেই আমরা গভীর রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসার সামনে এসে দাঁড়িয়েছি। আমরা এর জবাব চাই, আমাদের সংগঠনের নেতাকে কেন অন্যায়ভাবে আটক করা হলো।”
রাত সোয়া ৪টার দিকে নুরের সঙ্গে দেখা করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। পরে দেওয়া আরেকটি ভিডিওবার্তায় নুর বলেন, “আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি—ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার পতনের জন্য প্রশাসন ও আমলাতন্ত্রে যেসব অসৎ ব্যক্তি রয়েছে, তাদের অপসারণ জরুরি। এনবিআরের চেয়ারম্যান সেই ধরনের একজন, যিনি সরকারকে বিভ্রান্ত করে মিথ্যা মামলা করেছেন। এর ফলেই আমাদের সহকর্মী এখন থানায় আটক।”
তিনি আরও বলেন, “উপদেষ্টা দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন এবং সবকিছু হয়তো তাঁর নজরে ছিল না। তবে তিনি আমাদের অনুরোধ করেছেন, ভবিষ্যতে এমন কোনো বিষয় ঘটলে যেন তাকে বার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়। তিনি বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে দেখবেন।”