ভারত এখন স্লোগানে উত্তাল। ‘মোদী হটাও, ভারত বাঁচাও’। দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতার মাঝে, প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে সম্পর্কের অবনতি এবং যুদ্ধে জড়ানোর কারণে সাধারণ ভারতীয় নাগরিকরা ক্ষুব্ধ।
এবার, দেশের হিন্দু জনতা মোদী এবং তার দল বিজেপিকে আক্রমণ করেছে। এমনকি অনেক বিজেপি নেতা এবং কর্মীও এখন মোদী হটাও আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
দেশের প্রথম সারির একটি গণ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কাশ্মীর হামলাকে কেন্দ্র করে ২৬০ জন মুসলমানের লাশ চাওয়া বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী আর পশ্চিমবঙ্গের ইসলামোফোবিয়া ছড়ানো টেলিভিশন রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে। ইতিমধ্যে জনতার হাতে মার খেয়ে তারা পালিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে।
প্রতিবেদনে আরও প্রকাশ করা হয়েছে যে ময়ূখ রঞ্জন,বাংলাদেশিদের কাছে ‘মলম বিক্রেতা’ উপাধী পাওয়া ময়ূখ রঞ্জনকে রীতিমতো গণধোলাই দিয়ে কলকাতা ছাড়া করেছেন সেদেশের হিন্দু নাগরিকরাই। সমগ্র ভারতজুড়ে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাঁধানোর পায়তারা করছিলো ময়ূখ আর শুভেন্দু অধিকারী। শুধু কি তাই? বাংলাদেশে কোন পণ্য আসতে দেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন বিজেপির এই নেতা। এমনকি বাংলদেশি রোগিদের ভারতে না গিয়ে পাকিস্তানে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। এসবের পর বাংলাদেশিদের ভারতে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেলে বিপাকে পড়ে এখন না খেয়ে মরার দশা পশ্চিমবঙ্গের ব্যাবসায়ীদের।
কলকাতার সমস্ত ব্যবসায়ী এখন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন, যিনি ২৬০ জন মুসলিমের মৃতদেহ চেয়েছিলেন। আর মলম বিক্রেতা সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন তো ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে পালানোর পর থেকেই প্রোপাগান্ডা ছড়ানোতে ব্যস্ত ছিলো। বাংলাদেশ নিয়ে কটাক্ষ না করলে আর আবোল তাবোল সব মিথ্যে না ছড়ালে তার যেনো চলেই না।
জানা যায় যে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ বাঁধাতে ময়ূখ আর শুভেন্দুর উস্কানীর জন্য তাদের ওপর ক্ষেপেছে সাধারণ আমজনতা। একপর্যায়ে তাদের গণধোলাই দিয়ে এলাকা ছাড়া করেন ভারতীয় নাগরিকরা।