২০১৪ সালে জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করার পর আলোচনায় আসেন মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি। পরে তিনি অভিনয় ছেড়ে পর্দার আড়ালে চলে যান। ইসলামিক শিক্ষায় দীক্ষিত হওয়ার পর তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে আমাতুল্লাহ রাখেন। তিনি মুফতি মোহাম্মদ তালহা নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে বিয়ে করেন।
এবার হ্যাপি তার স্বামী তালহার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন।
এই প্রাক্তন মডেল-অভিনেত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে তার স্বামী তালহা ইসলাম এখন পর্যন্ত ৯ বার বিয়ে করেছেন। গত সোমবার হ্যাপি তার স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে হ্যাপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ধর্মের পথে চলার জন্য নাজনীন আক্তার হ্যাপি মডেলিং এবং বিনোদন জগৎ ছেড়েছেন। তিনি ৭ বছর আগে নড়াইলের প্রাক্তন সংসদ সদস্য প্রয়াত মুফতি শহীদুল ইসলামের ছেলে মুফতি তালহা ইসলামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছু সময় পর, সে জানতে পারে যে তালহা ইসলামের বিভিন্ন নারীর প্রতি আসক্তি আছে।
নারীদের সঙ্গে সম্পর্কের একপর্যায়ে কয়েক মাসের জন্য বিয়ে করেন তিনি। এখন পর্যন্ত তালহা ইসলাম ৯টি বিয়ে করেছেন।
যৌতুকের জন্য হ্যাপীকে মারধর করা হয় অভিযোগ করে তিনি বলেন, চারিত্রিক এসব সমস্যার পাশাপাশি তালহা ইসলাম প্রায়ই হ্যাপী ও তার সন্তানের ওপর নির্যাতন করেন। সামান্য কথার বিপরীত হলেই গায়ে হাত তুলতেন তালহা। এছাড়া যৌতুকের জন্য মাঝেমধ্যেই নির্যাতন করেছেন তিনি।
শরিয়া অনুসারে আমার বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার নেই। যদি তাকে প্রকাশ্য বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, সে বিশাল অঙ্কের টাকা দাবি করে। উদাহরণস্বরূপ, সে এক কোটি টাকা বা সে সারাজীবন সন্তানকে দেখতে পাবে না এমন শর্ত দেয়।
মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে প্রাক্তন এই অভিনেত্রী বলেন, “গতকাল রাতে মামলা দায়েরের পর তালহা আমার বাড়িতে লোকজন ডেকে আমার ৫০-৬০ লক্ষ টাকার ব্যবসায়িক জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে যায়। এছাড়াও, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।” এ সময় নাজনীন আক্তার হ্যাপি বলেন,এতদিন মারধরের ভয়ে চুপ ছিলাম। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় সবকিছু প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে তালহা ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে যে, তিনি বর্তমানে দুবাইতে অবস্থান করছেন।