ছাত্রদল নেতার রক্তে ভিজল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, প্রগতিশীলদের দিকে উঠছে আঙুল

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হওয়ার পর উদ্যানটি ঘিরে নানাবিধ অপরাধ ও অনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে স্যার এএফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাম্য ছুরিকাঘাতে নিহত হন। তিনি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনাস্থলে তার সঙ্গে থাকা বায়েজিদ ও রাফি নামের আরও দুই শিক্ষার্থীও আহত হন, যাদের চিকিৎসা চলছে।

ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই উদ্যানকে অপরাধের আখড়ায় পরিণত হওয়ার জন্য দায়ী করছেন। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ কিছু প্রগতিশীল গোষ্ঠী ও তাদের ছত্রছায়ায় থাকা একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আওতাধীন নয়, এটি শাহবাগ থানার অধীনে। অথচ এটিকে মাদকের আখড়া বানিয়ে রেখেছে কিছু ‘প্রগতিশীল’ গোষ্ঠী। প্রশাসন সব জেনেও নিরব দর্শক।”

তিনি আরও লেখেন, “যখন প্রধান দাবি হওয়া উচিত ছিল সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার, এবং উদ্যানের নিরাপত্তাহীনতার দায়ে শাহবাগ থানাকে ঘেরাও করা, তখন কিছু পক্ষ ভিসির পদত্যাগের দাবিকে সামনে এনে ‘লাশের রাজনীতি’ করছে। নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের যন্ত্রণা যারা বোঝে না, তারা এই ধরনের রাজনীতি করছে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, বহু বছর ধরেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কেন্দ্র করে নানা অনৈতিক কার্যকলাপ চলে আসছে। এটি বন্ধ করতে প্রয়োজন কার্যকর প্রশাসনিক পদক্ষেপ, নিয়মিত টহল ও পার্ক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা।

শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা দ্রুত বিচার ও উদ্যানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

Scroll to Top